আধ্যাত্মিক নেতা আল্লামা শফীর মৃত্যুতে এমপি প্রার্থী ড. ফয়জুল হক এর শোক…
প্রকাশিত : ০৮:০৯ অপরাহ্ণ, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ শনিবার ২০১ বার পঠিত
মালয়েশিয়া প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশের গন মানুষের আধ্যাত্মিক জগতের মহান রাহবার, ৫ই মে শাপলা চত্বরের গন আন্দোলনের নেতা, ইসলামিক লিডার, বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলামের মুহতারাম আমির, হাটহাজারী মাদ্রাসার সম্মানীত মুহতামিম আল্লামা শাহ আহমদ শফী সাহেব হুজুর মা. জি. আ.আর নেই।
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন…
বার্ধক্য জনিত কারনে রাজধানীর আজগড় আলী হাসপাতালে গতকাল সন্ধ্যা ৬.২০ মিনিটে তিনি ইন্তিকাল করেন।
আল্লাহ তায়ালা মহান এই সাধককে জান্নাতের উচ্চ মকাম দান করুন, আমীন!
আমার জীবনের সব চাইতে বড় পাওয়া হলো আমি এই মহান ওলী কে আমার বাসায় মেহমানদারী করার সুযোগ ও তাকে আমার গাড়ীতে করে মালয়শিয়ার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ছিলাম। মহান ওলী আল্লামা শাহ আহমদ শফী সাহেব হুজুর মা. জি. আ. তখন আমাকে অত্যন্ত আদর স্নেহ করেছিলেন এবং আমার মুখে খাবার তুলে দিয়ে ছিলেন। আমার জীবন ধন্য আলহামদুলিল্লাহ।
আমি বিশ্বাস করি আল্লামা শাহ আহমদ শফী সাহেব হুজুর মা. জি. আ. তিনি একজন হক্কানী আলেম ও আল্লাহর খাছ বান্দা ছিলেন। তিনি বাতিলের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিয়েছেন, জীবনের ৫০ বছর হাটহাজারী মাদ্রাসার খেদমত করেছেন। বয়োবৃদ্ধ থাকা অবস্থায়ও হুজুর কেবলা বাকশালীদের হাতে মানষিক চাপে ছিলেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।
রাজনৈতিক মতানৈক্য আমাদের দেশের প্রতিদিনের চিরাচরিত অভ্যাস। এখানে মতের উল্টো হলেই কেউ কাউকে ছেড়ে দিয়ে কথা বলেন না। সে যতো বড় উঁচু মাপের মহান ব্যাক্তিই হোকনা কেন! সেই হিসেবে মহান সাধক আল্লামা শাহ আহমদ শফী সাহেব হুজুর মা. জি. আ. এর পক্ষে বিপক্ষে অনেক মতানৈক্য ছিলো। সবচাইতে বেশী কষ্ট দিয়েছেন ইনু,রাশেদ খান মেনন গংরা সংসদে নোংড়া কথা বলে।
মহান ব্যাক্তিরা মৃত্যুর পড়ে আরো মহান হন তাঁদের নিজ কর্মের গুনে।দাঁত থাকতে কখনোই আমরা যেমন দাঁতের মর্ম বুঝিনা তেমনি মহান ব্যাক্তিদেরকে জীবিত থাকতে আমরা কখনোই মুল্যায়ন করতে পারিনা।এটা ইনসানদের একটি দুর্বলতা।আজ হয়ত আমরা বুঝবো যে কি মুরব্বি হারালাম আমরা।আমরা কেহই ভুলের উর্ধে নই, জীবনের পরতে পরতে আমাদের ভুল লেগেই আছে। আল্লামা শাহ আহমদ শফী সাহেব হুজুর মা. জি. আ. জীবনের প্রতিটি মুহুর্তই ইসলামের কল্যানে ব্যায় করেছেন, আমার মতো নালায়েক বান্দার আল্লামা শাহ আহমদ শফী সাহেব হুজুর মা. জি. আ. সঠিক মুল্যায়ন করা অপরিণামদর্শীতার শামীল হবে। তবে এক বাক্যে বলবো হুজুর ছিলেন মানবতার হুজুর, হুজুর ছিলেন জনতার হুজুর, হুজুর ছিলেন বাতিলের আতংক, বামপন্থী নাস্তিকদের রক্তচক্ষু।বার্ধক্য জীবনের গত ১০ টি বছর এই মহান সাধককে প্রতিদিন নতুন নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে চলতে হয়েছে। আওয়ামী বাকশালীরা হুজুরকে স্বাধীন ভাবে চলতে ফিরতে দেননি। তাকে একবাক্যে কোনঠাসা করে রেখেছিলো বাকশালীরা। কিন্তু আল্লামা শাহ আহমদ শফী সাহেব হুজুর মা. জি. আ. বাংলার ১৭ কুটি মানুষের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছেন।
আল্লাহপাক মহান অলিকে সম্মানীত করে দুনিয়া থেকে নিয়ে গেছেন। আমরা হয়তো তার যথাযথ মুল্যায়ন করতে পারিনি। মহান রব তুমি আমাদেরকে মাফ করে দিও।
কায়েদ পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা শোকাহত! শোকাহত কুটি কুটি ভক্তের কাছে একটিই অনুরোধ আর তা হচ্ছে আমরা হুজুরের সঠিক আদর্শগুলো চর্চা করি ও জীবনকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য অর্পন করি।
ডক্টর ফয়জুল হক
পোষ্ট ডক্টোরাল ফেলো
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মালয়শিয়া
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক সত্যের সন্ধান'কে জানাতে ই-মেইল করুন- sattersandhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
দৈনিক সত্যের সন্ধান'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।