রাজশাহীর বাগমারায় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রাতের আঁধারে চলছে অবৈধ পুকুর খনন
প্রকাশিত : ১১:৩৬ অপরাহ্ণ, ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ শনিবার ১০১ বার পঠিত
মাজহারুল ইসলাম চপল, রাজশাহীঃ
রাজশাহীর বাগমারার হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের নাকের ডগায় চলছে অবৈধ পুকুর খননের হিড়িক। অন্যান বছর দিনের আলোয় পুকুর খনন করলেও এবার লোক চক্ষুর আড়াল করে রাতের আঁধারে চলছে এই অবৈধ পুকুর খননের কাজ। আর পুকুর খননের মাটিগুলো পাকা রাস্তাকে নষ্ট ও পুরো রাস্তাকে কর্দমাক্ত করে পুলিশ ক্যাম্পের সামনে দিয়ে গেলেও অলৌকিক কারনে নিরব রয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না’—এমন সরকারি নির্দেশনা ও হাই কোর্টের রিট থাকলেও বাগমারা উপজেলার প্রায় প্রতিটি বিলে অবৈধ পুকুর খনন করে ছয়লাপ করেছে অসাধু মৎস চাষী ও পুকুর ব্যাবসয়ীরা। এতে করে উপজেলায় আশঙ্কাজনক হারে কমছে কৃষি জমির পরিমাণ। এক শ্রেণির অসাধু মৎস ও পুকুর ব্যবসায়ীরা অসহায় গরীব কৃষকদের ভুল বুঝিয়ে ও লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে দুই ফসলি ও তিন ফসলি জমিতে পুকুর খননে বাধ্য করাচ্ছে। আর কৃষকরা না বুঝে হারাচ্ছেন তাদের উর্বর ফসলি জমি, অন্যদিকে আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছেন এক শ্রেণির প্রভাবশালী পুকুর ব্যবসায়ীরা। আর এই পুকুর দস্যুদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না ব্যক্তি মালিকানা জমির পাশাপাশি সরকারের ১নং খতিয়ানভূক্ত জমিও।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাগমারা উপজেলা হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের নাকের ডগায় অর্থাৎ পুলিশ ক্যাম্পের মাত্র ৪০০ গজ দুরে বাড়ীগ্রাম এলাকার আইয়ুব আলী ও হাসেম আলী নামের দুই ব্যক্তি প্রায় ২০ বিঘার দুইটি পুকুর খনন করছে নির্বিঘ্নে। এবিষয়ে এলাকার সাধারণ জনগনের সাথে কথা বললে তারা বলেন, এই অসাধু মানুষের কারনে আজ দেশের আবাদি জমি কমছে। এদের কারনে দেশ আজ খাদ্যের অভাব পড়ছে। এভাবে পুকুর খনন করতে দিলে আগামীতে ভয়াবহ দিন অপেক্ষা করছে। তারা আরও বলেন, খু্ব দ্রুত এই অবৈধ পুকুর খনন বন্ধ করতে হবে তার সাথে অসাধু পুকুর ব্যাবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দিতে হবে।
তবে পুকুর খননকারি আইয়ুব আলীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি সকলকে ম্যানেজ করে এই পুকুর খনন করছি। আমি গত বছর এই পুকুর খনন শুরু করি কিন্তু বর্ষা আসার কারনে খননের কাজ শেষ করতে পারিনি। এবার আবার শুরু করছি। আর আমি সকলকে খুশি করেই পুকুর খনন করছি। তাই আমার কাজে বাধা দিবেনা।
এবিষয়ে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহমেদ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি পুকুর খনন বিষয়ে জানিনা। আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখবো। তবে কেউ আমাকে ম্যানেজ করার কথা বললে সেটা মিথ্যে বলেছে।
পরে পুকুর খনন বিষয়ে জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল মহোদয় কে অবগত করলে তিনি বলেন, আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বলে দিচ্ছি পুকুর খনন যেন বন্ধ করে দেন।
জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হলেও বন্ধ হয়নি হাটগাঙ্গোপাড়ার এই অবৈধ পুকুর খনেনর কাজ।
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক সত্যের সন্ধান'কে জানাতে ই-মেইল করুন- sattersandhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
দৈনিক সত্যের সন্ধান'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।